আনন্দ পাঠ(বাংলা দ্রুত পঠন)

পাঠ-পরিচিতি ও মূলভাব

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - আনন্দ পাঠ(বাংলা দ্রুত পঠন) - কাকতাড়ুয়া | NCTB BOOK

‘কাকতাড়ুয়া' গল্পে সত্যজিৎ রায় কুসংস্কারের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে মানবমনে বিচিত্রসব অনুভূতির প্রকাশ ঘটতে পারে। গল্পে একটি অনুষ্ঠান শেষে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কলকাতা ফিরছিলেন লেখক মৃগাঙ্কবাবু। পথে গাড়ির পেট্রোল ফুরিয়ে যাওয়ায় গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার তেল আনতে যান । এই অবকাশে মৃগাঙ্কবাবুর চোখে পড়ল ধু-ধু মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে একটি কাকতাড়ুয়া। তিনি লক্ষ করলেন কাকতাড়ুয়ার গায়ে পরানো আছে তিন বছর আগে তাড়িয়ে দেওয়া তাঁর গৃহকর্মী অভিরামের লাল-কালো ছিটের শার্ট। ওঝার কথায় মৃগাঙ্কবাবুর বাবা স্বর্ণের ঘড়ি চুরির অভিযোগে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। অভিরাম নিজের বাড়িতে এসে অর্থ-কষ্টে ও রোগে মারা যায়। সেই অভিরাম কাকতাড়ুয়ারূপে লেখককে জানায় যে, আলমারির নিচে পিছন দিকটায় ঘড়িটি এখনো পড়ে আছে । আসলে ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখছিলেন মৃগাঙ্কবাবু। বাড়ি ফিরে তিনি আলমারির তলা থেকে ঘড়িটা খুঁজেও পেলেন। অভিরামের মাধ্যমে মৃগাঙ্কবাবুর প্রাপ্ত তথ্য সত্যিকার অর্থে অবচেতনে লুকিয়ে থাকা সত্যেরই প্রকাশ । তিনি বুঝতে পারলেন ওঝার কথা ঠিক ছিল না। তাই
মৃগাঙ্কবাবু সিদ্ধান্ত নেন ভবিষ্যতে কোনো ওঝার সাহায্য নেবেন না । 

কুসংস্কারের প্রতি বিশ্বাস কখনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না, এ সত্যটিই এ গল্পে সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

Content added By
Promotion